ফেস শেভিং নারীদের ত্বককে মসৃণ করতে সহায়ক, তবে সঠিক পদ্ধতি না মানলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এই গাইডে সঠিক ও নিরাপদ ফেস শেভিং কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ফেস শেভিং এর সঠিক পদ্ধতি: সুন্দর ও মসৃণ ত্বকের জন্য একটি সম্পূর্ণ গাইডলাইন
ফেস শেভিং, সুন্দর ও মসৃণ ত্বক পাওয়ার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে বর্তমানে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। যদিও এটি প্রথমে পুরুষদের জন্য প্রচলিত ছিল, কিন্তু আধুনিক সময়ে নারীরাও এই পদ্ধতিকে নিজেদের রূপচর্চার অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিশেষত, মুখের অতিরিক্ত হেয়ার দূর করার ক্ষেত্রে ফেস শেভিং একটি সহজ, কার্যকর এবং দ্রুত সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় সঠিক পদ্ধতি না মেনে শেভিং করলে ত্বকের ওপর নানা রকম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন ব্রণ, রেজর বার্ন, ত্বকে বাম্পস বা ফুসকুড়ি, ত্বক কেটে যাওয়া, জ্বালাপোড়া, ত্বকের ফোলা ভাব, এমনকি ইনগ্রোন হেয়ারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই স্থানে শেভ করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা এবং কিছু ধাপ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
আজকের এই ব্লগে, আমি ফেস শেভিং এর একটি নিরাপদ স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি, তুলে ধরব ফেস শেভিং এর সুবিধা, অসুবিধা এবং সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াসমূহ। যারা ফেস শেভিংয়ের মাধ্যমে ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে চান, তাদের জন্য এই ব্লগটি হল একটি পরিপূর্ণ নির্দেশিকা।
ফেস শেভিং এর একটি নিরাপদ স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড
১. ফেস শেভিং এর জন্য সঠিক রেজর নির্বাচন
ফেস শেভিং এর ক্ষেত্রে রেজর নির্বাচন করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
নারীদের মুখের ত্বক সাধারণত সংবেদনশীল হয় এবং মুখের হেয়ার বা ‘পিচ ফাজ (peach fudge)’ তুলনামূলকভাবে খুব পাতলা, ছোট এবং স্কিন কালারের হয়ে থাকে।
এই ধরনের হেয়ার শেভ করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফেসিয়াল রেজর ব্যবহার করা উচিত।
ফেসিয়াল রেজরগুলি সাধারণত সাইজে ছোট এবং আকারে এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যা মুখের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য নিরাপদ।
তাই ভালো মানের একটি রেজর নির্বাচন করলে আপনি শেভিং-এর সময় সহজেই ত্বককে কেটে ফেলার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারবেন এবং একটি মসৃণ শেভিং অভিজ্ঞতা পাবেন।
২. শেভিং এর জন্য মুখের ত্বক প্রস্তুত করা
শেভিং শুরু করার আগে মুখের ত্বককে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা অপরিহার্য।
ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার না করা হলে শেভিং-এর সময় ময়লা বা তেলের কারণে ত্বকে ব্রণ, রেজর বার্ন বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এজন্য শেভিং করার আগে ত্বক প্রস্তুত করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা উচিত:
ক. প্রথমে অয়েল ক্লিনজার ব্যবহার করুন
প্রথম ধাপে একটি অয়েল ক্লিনজার দিয়ে মুখের ত্বকে জমে থাকা সমস্ত মেকআপ, সানস্ক্রিন এবং তেল যুক্ত ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
অয়েল ক্লিনজার ত্বকের গভীরে জমে থাকা ময়লা ও তেল দূর করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে শেভিং-এর জন্য প্রস্তুত করে থাকে।
খ. ওয়াটার বেস ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন
অয়েল ক্লিনজার ব্যবহারের পর একটি মৃদু ওয়াটার বেসড ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
এতে ত্বকের ওপরে থাকা অবশিষ্ট ময়লা ও তেল দূর হবে এবং ত্বক শেভিং-এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে উঠবে।
মুখ ধোয়ার সময় ৩০ সেকেন্ড ধরে হালকা করে মেসেজ করুন যাতে সমস্ত ময়লা ও তেল ভালোভাবে দূর হয়।
৩. ফেস শেভিং এর জন্য ফেসিয়াল অয়েল নির্বাচন
ফেসিয়াল অয়েল ত্বককে পিচ্ছিল করে থাকে, যা রেজরকে ত্বকের ওপর সহজে গ্লাইড করতে সাহায্য করে এবং শেভিং-এর সময় ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
তাই ফেস শেভিং করার সময় মুখের ত্বককে মসৃণ রাখতে এবং শেভিং প্রক্রিয়াকে আরামদায়ক করতে একটি ভালো ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
আর এই ফেসিয়াল অয়েল নির্বাচনের সময় যে বিষয় মাথায় রাখা জরুরিঃ
ক. পোর ক্লগ না করে এমন অয়েল নির্বাচন করুন
এমন ফেসিয়াল অয়েল নির্বাচন করা উচিত যা পোর ক্লগ না করে।
পোর ক্লগিং মানে ত্বকের রন্ধ্র আটকে যাওয়া, যা থেকে ব্রণ বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পিওর অয়েল যেমন কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে পোর ক্লগ করার ঝুঁকি থাকে তাই এই ওয়েল গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উত্তম এবং এর পরিবর্তে লাইটওয়েট এবং নন-কমেডোজেনিক (যা ত্বকের রন্ধ্র বন্ধ করে না) অয়েল ব্যবহার করা উচিত।
উদাহরণস্বরূপ, জোজোবা অয়েল, আর্গান অয়েল, বা গ্রেপসিড অয়েল ভালো বিকল্প হতে পারে, কারণ এগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং আর্দ্রতা যোগায় কিন্তু পোর ক্লগ করে না।
খ. ত্বকের ধরন অনুযায়ী অয়েল নির্বাচন করুন
প্রত্যেকের ত্বক আলাদা, তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল অয়েল নির্বাচন করা উচিত।
যদি আপনার ত্বক তেলতেলে হয়, তবে এমন একটি অয়েল বেছে নিন যা হালকা এবং তেল নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, তবে এমন একটি অয়েল বেছে নিন যা গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে পারে।
৪. ফেস শেভিং এর সঠিক টেকনিক
ফেস শেভিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সঠিক টেকনিক মেনে চলা ।অর্থাৎ:
ক. সঠিকভাবে রেজর ধরা
শেভ করার সময় রেজরটি সঠিকভাবে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই ভুল করে রেজরটি খাড়া ভাবে ত্বকের উপর ধরে শেভ করেন, যা ত্বক কেটে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
রেজরটি ৪৫° এঙ্গেলে ধরে ত্বকের সাথে মিশিয়ে ধরা উচিত।
এই অবস্থানে রেজর ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায় এবং একটি মসৃণ শেভ পাওয়া যায়।
ত্বকের সঙ্গে রেজরটি এভাবে মিশিয়ে ধরে শেভ করলে হেয়ার সহজে এবং সমানভাবে কাটে, যার ফলে ত্বক থাকে মসৃণ ও সুন্দর।
খ. ত্বক টেনে ধরে শেভ করা
শেভ করার সময় আপনার অপর হাত দিয়ে ত্বককে সামান্য টেনে ধরুন।
এতে করে ত্বকের পৃষ্ঠটি মসৃণ হয়ে যাবে এবং রেজরটি ত্বকের ওপর সহজে গ্লাইড করবে।
এটি শেভিংয়ের সময় ত্বক কেটে যাওয়া, রেজর বার্ন, বা অন্য ধরনের ত্বকের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।
শেভ করার সময় বড় স্ট্রোকের পরিবর্তে ছোট ছোট স্ট্রোকে শেভ করুন, যা ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং আপনাকে একটি নিখুঁত শেভিং অভিজ্ঞতা দেয়।
গ. হেয়ার গ্রোথের দিকে শেভ করা
ফেস শেভিং করার সময় সবসময় হেয়ার গ্রোথের দিকেই শেভ করা উচিত।
অনেকেই ভুল করে হেয়ার গ্রোথের উল্টোদিকে শেভ করেন, যা ত্বকে লালচে র্যাশ, বাম্পস, বা রেজর বার্নের কারণ হতে পারে।
হেয়ার গ্রোথের দিকেই শেভ করলে রেজরের ব্লেড হেয়ারের সাথে মসৃণভাবে মিশে থাকে এবং হেয়ার কাটা সহজ হয়।
এর ফলে ত্বকের উপরে কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং নতুন হেয়ার গ্রোথও মসৃণ থাকে।
ঘ. রেজরটি পরিষ্কার রাখা
শেভ করার সময় কিছুক্ষণ পর পর রেজরটি একটি পরিষ্কার টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
রেজরের ব্লেডে জমে থাকা হেয়ার এবং ময়লা পরিষ্কার করা খুবই জরুরি, কারণ জমে থাকা ময়লা রেজরটি ত্বকের ওপর সহজে গ্লাইড করতে বাধা দেয় এবং ত্বকে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ায়।
প্রতিবার রেজর পরিষ্কার করে নিলে ত্বক মসৃণ ও সুরক্ষিত থাকে এবং শেভিং অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয়।
ঙ. নতুন রেজর ব্যবহার করা
ফেস শেভিং একটি সংবেদনশীল প্রক্রিয়া, যেখানে ত্বকের ওপর সরাসরি রেজরের প্রভাব পড়ে।
তাই ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সবসময় নতুন বা ধারালো রেজর ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পুরনো বা ভোঁতা রেজর ব্যবহার করলে ত্বকে রেজর বার্ন, কাটা, ইনগ্রোন হেয়ার, বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নতুন রেজর ব্যবহারের মাধ্যমে এই ঝুঁকিগুলো থেকে ত্বককে রক্ষা করা যায় এবং শেভিংয়ের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি মসৃণ ও আরামদায়ক হয়।
ফেস শেভিং-এর পরবর্তী যত্ন: কিভাবে ত্বককে সুরক্ষিত ও সুস্থ রাখবেন?
ফেস শেভিং-এর পর ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেভিং করার পর ত্বক কিছুটা সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং আর্দ্রতা হারাতে পারে।
এজন্য ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে শেভিংয়ের পর বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
শেভিং করার পরপরই মুখে কেবল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এটি ত্বকের উপরিভাগে থাকা রেজরের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট ক্ষুদ্রতম কাটা বা জ্বালা দূর করতে সাহায্য করে।
এরপর হালকা ভেজা অবস্থায় ত্বকে একটি মৃদু ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন।
ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শেভিং-এর পর ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
তবে, শেভিং করার পর ত্বকে কোনো ধরনের একটিভ উপাদান, সেরাম বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
এগুলোর ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি হতে পারে, বিশেষ করে যখন ত্বক শেভিংয়ের পরে সংবেদনশীল অবস্থায় থাকে।
তাই ময়েশ্চারাইজার ছাড়া অন্য কোনো পণ্য ব্যবহার না করাই উত্তম।
ফেস শেভিং এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো কী?
ফেস শেভিং-এর মাধ্যমে ত্বককে মসৃণ এবং পরিষ্কার রাখা যায়, তবে এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধাও রয়েছে।
নিচে ফেস শেভিং-এর প্রধান সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো উল্লেখ করা হলো:
ফেস শেভিং এর সুবিধা
ক. অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত হেয়ার দূর করা সম্ভব হয়
ফেস শেভিং-এর মাধ্যমে মুখের অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত হেয়ার সহজেই দূর করা যায়, যা অনেকের জন্য একটি দ্রুত এবং কার্যকর সমাধান।
খ. ত্বকের টেক্সচার মসৃণ হয়ে যায়
শেভ করার সময় ত্বকের উপরের স্তর থেকে মৃত কোষও দূর হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকের টেক্সচার আগের তুলনায় অনেক বেশি মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
গ. মেকআপ ত্বকে সহজে সেট হয়
মেকআপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফেস শেভিং-এর পর ত্বক আরও মসৃণ ও সমতল থাকে, যার ফলে মেকআপ ত্বকে সহজে সেট হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ফেস শেভিং এর অসুবিধা
ক. অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত হেয়ার দূর করা সম্ভব হয়
ফেস শেভিং-এর মাধ্যমে মুখের অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত হেয়ার সহজেই দূর করা যায়, যা অনেকের জন্য একটি দ্রুত এবং কার্যকর সমাধান।
খ. ভুল টেকনিক ফলো করলে সমস্যা হতে পারে
ফেস শেভিং করার সময় যদি সঠিক টেকনিক না মেনে চলা হয়, তবে ত্বকে রেজর বার্ন, বাম্পস, ইনগ্রোন হেয়ার ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই শেভিং-এর সময় অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা উচিত।
গ. ঘন ঘন রেজর কেনা ব্যয়বহুল হতে পারে
ফেস শেভিং করার জন্য নিয়মিতভাবে রেজর পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়।
পুরনো বা ভোঁতা রেজর ব্যবহার করলে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই ঘন ঘন রেজর কেনা অনেকের জন্য ব্যয়বহুল হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ
- সবসময় ফেসিয়াল রেজর ব্যবহার করুন যা মুখের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য নিরাপদ।
- ত্বক শেভ করার আগে অয়েল ও ওয়াটার বেসড ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন।
- শেভিংয়ের সময় নন-কমেডোজেনিক ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন যা পোর ক্লগ করে না।
- সবসময় হেয়ার গ্রোথের দিকেই শেভ করুন যাতে রেজর বার্ন ও বাম্পস এড়ানো যায়।
- শেভ করার সময় রেজরের ব্লেডে জমে থাকা হেয়ার ও ময়লা পরিষ্কার করুন।
- শেভিংয়ের পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- পুরনো রেজর ব্যবহারে ত্বকে সমস্যা হতে পারে, তাই নিয়মিত রেজর পরিবর্তন করুন।
ফেস শেভিং, ত্বককে মসৃণ এবং সুস্থ রাখার একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে, তবে এটি প্রয়োগের সময় সঠিক পদক্ষেপ ও পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় ফেস শেভিং করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
ভুল পদ্ধতি বা অপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহার ত্বকে ব্রণ, রেজর বার্ন, বাম্পস, জ্বালাপোড়া, এবং ইনগ্রোন হেয়ারসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তাই ফেস শেভিং শুরু করার আগে এর সুবিধা, অসুবিধা এবং সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে নিন এবং আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন।
Leave a Comment